বয়স বাড়াকে থামিয়ে দেওয়ার একটি বিশেষ উপায় হলো অ্যান্টি এজিং ক্রিমের ব্যবহার করা। ডার্মাটোলজিস্টরা মনে করেন, ২৫-এর পর থেকেই এই ক্রিমের ব্যবহার করা উচিত।

আমাদের সারা দিনের রোদ, ধুলোবালি, দূষণ থেকে প্রতিদিন ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা থেকে বাঁচতে অ্যান্টি এজিং ক্রিম দারুণ কার্যকর। ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি এই ক্রিমটি ত্বককে সুস্থ রাখতেও দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৫ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত আমাদের ত্বকে পর্যাপ্ত কোলাজেন আর ইলাস্টিন টিস্যু তৈরি হয়। এ সময় ত্বকের ক্ষতিও কম হয়। কিন্তু তারপর থেকে কোলাজেন আর ইলাস্টিনের পরিমাণ কমতে থাকে। যার কারণে আমাদের ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা পড়া শুরু হয়। তাই অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার শুরু করার আদর্শ বয়স হিসেবে ২৫ বছরকে ধরা যেতে পারে।

অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহারের আগে আপনাকে আগে ত্বককে উপযোগী করে তুলতে হবে। এর জন্য আপনাকে অনুসরণ করতে বিশেষ কয়েকটি ধাপ।

প্রথমে ভালো ব্র্যান্ডের কোনো ফেশওয়াশ দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে স্ক্রাব করে নিন। এরপর গোলাপের পানি দিয়ে আপনার ত্বককে টোনিং করুন। এরপর ভিটামিন সি সিরাম এপ্লাই করে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করুন অ্যান্টি এজিং ক্রিম।

আদর্শ অ্যান্টি এজিং ক্রিম এমন হবে যা ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায়। তাই রেটিনয়েড, এএইচএ, হ্যালিউরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, গ্লুটাথিওন, পেপটাইড আর স্টেম সেলের নির্যাসর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকতে হবে ক্রিমে। এসব উপাদান ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে, ত্বক আর্দ্র রাখে, ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ রেটিনল বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতিতে সাহায্য করে। বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ক্রিম কেনার আগে রেটিনল আছে কি না দেখে নিন।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্টি এজিং ক্রিম পাওয়া যায়। যেমন গার্নিয়ার, পন্ডস, ল্যাকমে, লোটাস, ওলে ব্যান্ডগুলোর অ্যান্টি এজিং ক্রিম রয়েছে। এর মধ্যে আপনার ত্বকের উপযোগী ক্রিমটি বেছে নিন। তাহলে যতই বয়স বাড়ুক আপনার ত্বকে তারুণ্যের কোনো কমতি থাকবে না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা